——- মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাস্টার
বিশ্ববেরণ্য চিন্তাবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা
বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগের ৭০তম
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা
সভায় আপনি
একটি নিরেট
সত্য তুলে
ধরে বলেছেন,
“বাংলাদেশের একটি মানুষও
যদি কষ্টে
থাকে তবে
বাবার (বঙ্গবন্ধুর)
আত্মা কষ্ট
পাবে।”
এর চেয়ে
সত্য বচন
দ্বিতীয়টি আছে বলে আমি মনে
করি না। জাতির
জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর
রহমান এর
আজীবন লালিত
স্বপ্ন ছিল,
শোষণ ও
বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলা। এদেশের ভূখানাঙ্গা ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানো। তাদের অধিকার আদায়ের জন্যই তিনি লড়াই করেছেন, জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় জেলে অন্তরীণ থেকেছেন। স্বপ্ন দেখেছেন একটি বৈষম্যহীন ও সুখী সম্মৃদ্ধশালী সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আপনি জানেন কি পাঁচ লক্ষাধিক বেসরকারি এমপিওভূক্ত শিক্ষকরা আজ খাদের কিনারে? তাদের হৃদয়ে আজ রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আপনার দেয়া ৫% ইনক্রিমেন্টের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই অতিরিক্ত ৪% কেটে নেয়া হচ্ছে? আপনি জানেন কি আমরা মাত্র ২৫% উৎসব ভাতা পাই? আমাদের বাড়ি ভাড়া মাত্র ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা, বিনোদন ভাতা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা একেবারেই পাই না? আমাদের চাকরিতে কোন বদলী নেই? যেখানে শুরু সেখানেই শেষ! উচ্চতর স্কেল আটকে আছে রহস্যের
জালে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরাও মানুষ! কষ্ট আমাদেরও লাগে। একই সিলেবাস ও একই কারিকুলাম পড়িয়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা পাবে ১০০% উৎসব ভাতা আর আমরা ২৫% তাতো কষ্ট লাগারই কথা। তারা পাবে বেতন আমরা পাবো অনুদান! এ কষ্ট হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। আমাদের কষ্টে নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর আত্মা কষ্ট পাবে। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা তো আছে। তাই আমাদের কষ্ট লাঘবে আমরা আপনাকে ত্রাণকর্তা হিসেবে পেতে চাই। আপনাকে কথা দিচ্ছি আমাদের দুঃখকষ্টের অবসান ঘটান, আমরা আপনাকে একটি সুশিক্ষিত জাতি উপহার দিব যাতে বিদেশ থেকে প্রশিক্ষিত শিক্ষক আনতে না হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
“আপনি সবই জানেন এবং বুঝেন। তাই
প্রত্যাশা করছি ২০২০ সাল হউক
বেসরকারি শিক্ষকদের
মুক্তির সোপান। বঙ্গবন্ধুর
জন্মশত বার্ষিকীতে
আমরা উপহার
হিসেবে পেতে
চাই বহুল
প্রত্যাশিত জাতীয়করণের ঐতিহাসিক ঘোষণা।
মুজিববর্ষ বয়ে আনুক আলোকবর্ষ।”
লেখক,
প্রধান শিক্ষক
পীর কাশিমপুর আর এন উচ্চ বিদ্যালয়
মুরাদনগর, কুমিল্লা
০১৮১৮৬৬৪০৩৪
alauddinhm71@gmail.com
Leave a Reply