কালপুরুষ রিপোর্ট।। জাতীয় শিক্ষাক্রমের আলোকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ক পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়টিকে ধারাবাহিক মূল্যায়নের একটি নতুন নিয়ম চালু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সারাদেশে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলমান এই কার্যক্রমের শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি’। এই ধারাবাহিক মূল্যায়নে দুইটি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রথমত সম্ভাব্য নমুনা প্রশ্নের আলোকে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের স্বজন এবং মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাত্কার ও স্মৃতিচারণের ভিডিওচিত্র ধারণ। দ্বিতীয়ত সাক্ষাৎকারকারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য, স্মৃতিচারণ, সাহসিকতার গল্প নিয়ে শিক্ষার্থীরা তৈরি করছে প্রতিবেদন।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি’ এই কার্যক্রমের মাধ্যমে একদিকে কারিকুলামে থাকা ধারাবাহিক মূল্যায়নের বিষয়টি বাস্তবায়ন হচ্ছে অপরদিক তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ এই দুটো বিষয়ে বই বহির্ভূত বাস্তব জ্ঞান লাভের সুযোগ পাচ্ছে। তাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আরও শাণিত হচ্ছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শিক্ষার্থীদের একটা নিবিড় যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে এবং তাতে দুই প্রজন্মের মধ্যে একটা মেলবন্ধন তৈরি হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা এলাকার বদ্ধভূমি, রণাঙ্গন অথবা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলোর সাথে পরিচিত হতে পারছে। শিক্ষার্থীরা খুবই আগ্রহের সাথে কাজগুলো করছে। মুক্তিযোদ্ধারাও তাদের খুবই অনুপ্রাণিত করছেন এবং নিজেরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি’ কার্যক্রমটি মাউশির একটি একটি অনন্য সংযোজন। তবে কাজটি বিদ্যালয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন খুব একটা সহজ সাধ্য নয়। ভিডিও এডিটিং করা একটা কঠিন কাজ। এক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব খুবই প্রয়োজন। অনেক প্রতিষ্ঠানেই দক্ষ জনবলের অভাব। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ব্যয়সাপেক্ষও বটে। তাই ন্যুনতম আর্থিক সংস্থান থাকলে কাজটি সম্পাদনে আরও উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করত।
Leave a Reply