কালপুরুষ রিপোর্ট।। ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সুখী, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ, যা সকল প্রকারের বৈষম্যহীন, প্রকৃতপক্ষেই সম্পুর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র এবং যার মুখ্য চালিকাশক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। এটি বাঙালির উন্নত জীবনের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও আকাঙ্খা। এটি বাংলাদেশের সব মানুষের ন্যুনতম মৌলিক চাহিদা মেটানোর প্রকৃষ্ট পন্থা। এটি একাত্তরের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপকল্প। এটি বাংলাদেশের জন্য স্বল্পোন্নত বা দরিদ্র কোন দেশ থেকে সমৃদ্ধ, উন্নত ও ধনী দেশে রূপান্তরের জন্য মাথাপিছু আয় বা জাতীয় আয় বাড়ানোর অঙ্গীকার। এটি বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সোপান। এটি একুশ শতকের সোনার বাংলা। এটি শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০২১’ বা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনগণ শেখ হাসিনাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছিল শুধু এই ভেবে যে, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন। নতুন ধারার রাজনীতি চালু করবেন। জনগণের আশা-আকঙ্খার প্রতিফলন কতটুকু হয়েছে তা বিচারের ভার বিদগ্ধ পাঠকের কাছেই ছেড়ে দিলাম। তবে ১৯৯৬ সালে তিনি যে দিন বদলের কথা বলেছেন, তা অব্যাহত রেখেছেন। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে তিনি অনেক দুর এগিয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন। ঘোষণা করেছেন ‘ভিশন-২০২১’। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের পূর্বেই তিনি দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন।
জনগণের দোঁরগোড়ায় অনলাইন রাষ্ট্রীয় সেবা পৌঁছিয়ে দেয়ার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালন করেছিলেন তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ যুগান্তকারী সাফল্যের পেছনে অনন্য অবদান রেখে চলছেন তাঁরই সুযোগ্য পুত্র আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কম্পিউটার বিজ্ঞানী প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তরুণ প্রজন্মের অহংকার সজীব ওয়াজেদ জয় আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান বাস্তবায়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন।
আজ ১২ ডিসেম্বর শনিবার ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’ প্রতিপাদ্যের আলোকে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০’ উদযাপিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচি রূপকল্প ২০২১ এর মূল উপজীব্য। যার বাস্তবায়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ। সেই হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের একযুগ পূর্তির দিন আজ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু আওয়ামী লীগের নয়, ১৭ কোটি মানুষের। ঘরে ঘরে প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে দেশের জনগণ করোনা মহামারিতেও সবকিছুর সাথে সংযুক্ত থাকতে পেরেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত, সরবরাহ ব্যবস্থা এমনকি বিচারিক কাজ সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
Leave a Reply